সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত ফারাজ করিম চৌধুরী এবং তাঁর ছোট ভাই ফারহান করিম চৌধুরীর নামে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধান শুরু করেছে। চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার গহিরা গ্রামের পারিবারিক বাড়ির দরজায় গত এক সপ্তাহ ধরে ঝুলছে দুদকের দেওয়া অফিসিয়াল নোটিশ, যা গত বুধবার (দুদকের প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক মো. নাজমুল হাসানের স্বাক্ষরে) সেখানে সাঁটানো হয়। বিষয়টি সোমবার জনসমক্ষে আসে।
ফারাজ ও ফারহান, সাবেক সংসদ সদস্য এ.বি.এম. ফজলে করিম চৌধুরীর দুই পুত্র। বর্তমানে তাদের বাবা কারাবন্দী এবং দুই ছেলে পলাতক। তাঁদের বিরুদ্ধে গণ–অভ্যুত্থান সংশ্লিষ্ট হামলার ঘটনায় মামলা রয়েছে।
দুদকের দাবি, এই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে এবং তাদের নামে ও বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্যও ইতিমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে। দুদক তাদের সম্পদের বিস্তারিত হিসাব চেয়ে পূর্বে চিঠি পাঠালেও, ফারাজ ও ফারহান কোনো সাড়া দেননি।
নোটিশে বলা হয়েছে, ২১ কর্মদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ফরমে তাঁদের নিজস্ব ও তাঁদের উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের সব ধরনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, দায়দেনা এবং আয়ের উৎসের তথ্য দাখিল করতে হবে। তা না করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দুদকের পরিচালক নাজমুল হাসান জানিয়েছেন, “বাড়িতে কাউকে না পেয়ে আমরা আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে নোটিশটি দরজায় সাঁটিয়েছি।”
উল্লেখ্য, ফারাজ করিম এক সময় ফেসবুকে তাঁর নানা কর্মকাণ্ডের জন্য ছিলেন বেশ আলোচিত। তবে ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান ঘিরে বিতর্কে জড়ানোর পর থেকে তিনি আর প্রকাশ্যে দেখা দেননি।