দ্য শিফট’ নামে একটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম সম্প্রতি এমন ৯০ জন নারীর তালিকা প্রকাশ করেছে, যারা নিজেদের কাজ ও প্রভাব দিয়ে বিশ্বজুড়ে আলো ছড়াচ্ছেন। সেই তালিকায় জায়গা পেয়েছেন বলিউড তারকা দীপিকা পাড়ুকোন, আন্তর্জাতিক তারকাদের সঙ্গে। তালিকায় আরও রয়েছেন সেলেনা গোমেজ, অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, ও বিলি আইলিশের মতো নাম। ভারত থেকে তালিকায় রয়েছেন আরেকজন—পরিচালক জোয়া আখতার।
এই স্বীকৃতি দীপিকার কাছে শুধু একটা অর্জন নয়, বরং দায়িত্ব ও আত্মপ্রত্যয়ের এক নতুন অধ্যায়। রোববার নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে দীপিকা লিখেছেন, “দ্য শিফট যেভাবে ভবিষ্যৎ গঠনকারী ৯০ জন কণ্ঠকে সম্মান জানিয়েছে, তা সত্যিই গর্বের বিষয়। আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।”
তবে দীপিকার কাছে সাফল্য মানে শুধুই পেশাগত উল্লম্ফন নয়। নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, “আমার কাছে সাফল্যের মানে মানসিক শান্তি, আত্মসচেতনতা এবং জীবনের প্রতি একটি ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি। শুধু কাজ নয়, শৃঙ্খলা ও চরিত্রের দৃঢ়তাও আমার কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। আমি সবসময় এমন মানুষদের পাশে থাকতে চাই যারা ধৈর্য এবং সততার মর্যাদা বোঝে।”
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে দীপিকা আজকের জায়গায় এসেছেন। তবে কেবল সফল অভিনেত্রী হিসেবেই নয়, তিনি মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে একজন সাহসী কণ্ঠস্বর হিসেবেও পরিচিত। তাঁর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ‘লিভ লাভ লাফ ফাউন্ডেশন’ উদ্বেগ, হতাশা ও আত্মহত্যার প্রবণতা নিয়ে সচেতনতামূলক কাজ করে চলেছে, শুধু ভারতে নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও।
দীপিকা নিজে মানসিক সংকটের মধ্য দিয়ে গিয়েছেন, আর তাই তাঁর কথায় রয়েছে গভীর বাস্তবতা ও আন্তরিকতা। এই সচেতন অবস্থান তাঁকে সমাজে আরও গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে।
সম্প্রতি ৩ জুলাই দীপিকার নাম যুক্ত হয়েছে ‘হলিউড ওয়াক অব ফেম’-এ, যা তাঁকে প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী হিসেবে এই মর্যাদা এনে দিয়েছে। এই স্বীকৃতি তাঁর আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতার আরও একটি দৃষ্টান্ত। এর মধ্যেও থেমে নেই তাঁর অভিনয় ক্যারিয়ার—চলছেই নতুন নতুন প্রজেক্ট নিয়ে কাজ।
Good