বর্তমান ডিজিটাল যুগে সোশ্যাল মিডিয়া যেন হয়ে উঠেছে নতুন প্রজন্মের মঞ্চ। যেখানে যে কেউ মুহূর্তেই ‘ভাইরাল’ হয়ে যেতে পারে। তবে এই ভাইরাল হওয়ার পেছনে অনেক সময়ই দেখা যাচ্ছে অপসংস্কৃতির বিস্তার। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচিত হয়েছে দুই ব্যক্তি – যারা নিজেদের নাম দিয়েছে মান্না ও মৌসুমী। জনপ্রিয় বাংলা সিনেমার দুই কিংবদন্তি অভিনেতার নাম ব্যবহার করে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু বিতর্কিত এবং অশ্লীল ভিডিও তৈরি করছে, যা কেবলই ভাইরাল হওয়ার উদ্দেশ্যে।এই ধরনের ভিডিওতে শুধুমাত্র হাস্যরস বা বিনোদনের নামে অশালীন ও অশোভন আচরণ প্রদর্শন করা হচ্ছে, যা সমাজে একটি নেতিবাচক বার্তা ছড়াচ্ছে। বিশেষ করে তরুণ সমাজ এই ধরনের কনটেন্ট দেখে বিভ্রান্ত হচ্ছে এবং নিজেদেরকেও একই পথে চালিত করার ঝুঁকি নিচ্ছে।এখানে প্রশ্ন উঠে – ‘ভিউ’ আর ‘লাইক’-এর জন্য আমরা কতটা নিচে নামতে প্রস্তুত? মান্না ও মৌসুমীর মতো নামধারী এই কনটেন্ট ক্রিয়েটররা না শুধু ব্যক্তিগতভাবে অবমাননাকর কাজ করছে, বরং বাংলা সিনেমার আসল কিংবদন্তিদের নামকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে।একটি সমাজ তখনই উন্নত হয়, যখন তার সংস্কৃতি ও নৈতিকতা অটুট থাকে। অথচ আজ সেই সংস্কৃতি বিকৃতির পথে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের কনটেন্ট ছড়িয়ে পড়ার কারণে পরিবারের সামনে ইন্টারনেট ব্যবহারের নিরাপত্তা নিয়েও সংশয় তৈরি হচ্ছে।সমাধান কী?সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।প্ল্যাটফর্মগুলোকে আরও কঠোরভাবে কনটেন্ট মনিটরিং করতে হবে।দর্শকদেরও বুঝতে হবে, তারা যেসব কনটেন্টে ভিউ দিচ্ছে – তা আদৌ সমাজের উপকারে আসছে কি না।মান্না-মৌসুমী নামধারী এই ভাইরাল কনটেন্ট ক্রিয়েটররা হয়তো সাময়িক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে তারা আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এখনই সময়, আমরা সবাই মিলে এই ধরনের ভাইরাল অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই।
ভাইরাল হওয়ার নেশা: অনলাইন কনটেন্টে মৌসুমী ও মান্নার অপব্যবহার কি আমাদের সংস্কৃতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে?
